জহির উদ্দিন মাহমুদ
লক্ষ্মীপুরে একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসাবে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কাজ করছেন পুষ্প রাণী দাস। ১৫ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাই অবসরের সময় তাকে সংর্বধনা দিতে হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে এসেছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। আর সংবর্ধনা শেষে প্রতিষ্ঠাতার গাড়িতে করেই কর্মস্থল থেকে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।
বুধবার বিকালে এমনি `রাজকীয়’ বিদায় পেয়েছেন সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই কর্মী।
স্থানীয় দত্তপাড়া গ্রামেই পুষ্প রাণী দাসের বাড়ি। তাকে বিদায় দিতে হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে আসেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও হামদর্দ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকীম মোহাম্মদ ইউসুফ হারুন ভূঁইয়া ও অধ্যক্ষ কামরুন নাহার পলিন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ বক্তব্য শেষে পুষ্পকে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট তুলে দেন তারা।
স্মৃতিচারণ বক্তব্যে অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন বলেন, “২০১০ সালে কলেজের শুরু থেকেই পুষ্প রাণী চাকরি করে আসছেন। তিনি এখানে ১৫ বছর চাকরি করেছেন। কর্মজীবনে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।
“দায়িত্বের প্রতি অবচল থেকে সবসময় তিনি প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখেছেন। এজন্য তার বিদায় বেলা আনন্দময় করতে চেষ্টা করেছি।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুবে আনোয়ার, পরিচালক (তথ্য ও গণসংযোগ) আমিনুল মোমেনিন মানিক, হামদর্দ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, হামদর্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার কামরুল হুদা সবুজ, রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল সাইফুল ইসলাম খান প্রমুখ।