শিরোনামঃ

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি পাঠ্যপুস্তকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে : এ্যানি  

জহির উদ্দিন মাহমুদ / ১৩ পোস্ট কাউন্ট
আপডেট মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

  • জহির উদ্দিন মাহমুদ

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলেছে ‘ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। সরাসরি শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়ে দেশের ছাত্রজনতাকে হত্যা করেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি একটি দালিলিক প্রমাণ। এই দলিল বাংলাদেশ সরকারকে সংরক্ষিত করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানানোর জন্য পাঠ্যপুস্তকে এই দলিল লিপিবদ্ধ করতে হবে। যদি এ সরকার না করে, ইনশাআল্লাহ এ দেশে একটা নির্বাচন হবে। আমরা আশা-প্রত্যাশা করছি, খুব শিঘ্রই দেশে স্বাভাবিক নিয়মে একটি সুন্দর নির্বাচন হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সেই সরকারের নেতৃত্বে দেবে, ইনশাআল্লাহ। তখন জাতিসংঘের ঐতিহাসিক দলিল আগামি দিনের পাঠ্যপুস্তকে রাখার ব্যবস্থা আমরা করবো। যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর এ দেশের মানুষ যেন এ অপকীর্তি, গুম-খুন, দুর্নীতির সম্পর্কে অবহিত থাকে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ্যানি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জাতিসংঘ অনুরোধ করেছে’। এটি দেশের জন্য এ মুহুর্তে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও হাসিনা আমাদের জীবনযাত্রা-ভাবমূর্তি ও দেশকে ধ্বংস করার জন্য এমন কিছু বাকি নেই যা তিনি করেননি। কারণ তার কাছে ক্ষমতাই বড় ছিল। ক্ষমতাকে পার্মানেন্ট রাখার জন্য সে একের পর এক গুম ও খুন করেছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্ম যে দেশপ্রেম জাগ্রত হয়েছে, তা অনুভব করার মতো। এটি আমাদেরকে অনুপ্রানিত করে। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার পরও তারা পিছপা হয়নি। হেলিকপ্টার থেকে টার্গেট করে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও অভিভাবকরা ছিল। দেশের সাধারণ মানুষের গণআন্দোলনকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য উপর্যপুরী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরাসরি নির্দেশ দিয়ে ছাত্র-জনতাকে খুন করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলন ছাড়াও এরআগে অত্যাচার-নির্যাতন ও মামলা-হামলা চালিয়ে আমাদেরকে জিম্মি করে  রাখা হয়েছে। খুন-গুম করেছে। কিন্তু শেষ পরিণতি, হাসিনা পার্মানেন্ট হতে পারেনি। পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মুরাদ হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সাহাব উদ্দিন সাবু, হাসানুজ্জামান চৌধুরী মিন্টু, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন ও বিদ্যালয়ের আজীবন সদস্য আলমগীর হোসেন রাজু প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর বিভাগ