বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য বরাদ্দ অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে জাতিসংঘ। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গারা মাথাপিছু ৬ ডলার রেশন সহযোগিতা পাবে প্রতি মাসে। যা আগে ছিল ১২ ডলার।
সেই হিসেবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা প্রতি মাসে ১ হাজার ৪৪০ টাকা (১২০ টাকা ডলার রেট অনুযায়ী) রেশন পেতেন। দৈনিক মাথাপিছু রেশন ছিল ৪৮ টাকা। নতুন সিদ্ধান্তে তা কমে হবে ২৪ টাকা।
হঠাৎ করে ডব্লিউএফপির এমন সিদ্ধান্ত ভালো সংবাদ নয় মন্তব্য করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে বলছেন, এতে রোহিঙ্গাদের পুষ্টি ও জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব পড়বে। আর সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা শিবিরে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বাড়বে অপরাধ প্রবণতাও।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামসুদ্দৌজা বলেন, মাথাপিছু রেশন বরাদ্দ কমে যাওয়াতে রোহিঙ্গাদের পুষ্টি ও জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব পড়বে।
অর্থ বরাদ্দ কমে গেলে, এর প্রভাব রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ওপরও পড়বে। কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী মনে করেন, খাদ্যসংকট দেখা দিলে রোহিঙ্গারা অপরাধের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে।
আবু মোর্শেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ছেলে-মেয়ে কান্না করবে খাবারের জন্য। তখন এই খাবার জোগাড় করার জন্য হলেও রোহিঙ্গারা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে যাবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৮ লাখই অনুপ্রবেশ করে ২০১৭ সালের শেষ দিকে।